ছেলেদের জন্য সোনার অলংকার ব্যবহার করা হারাম কেন?
Question
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
বিডি রমণী বাঙ্গালী নারীদের এক বিশ্বস্ত অনলাইন কমিউনি। এটি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। এখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করার পাশাপাশি অন্যদের প্রশ্নে উত্তর প্রদান করে অবদান রাখতে পারেন। প্রশ্ন করতে বা উত্তর দিতে আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করতে "একাউন্ট তৈরি করুন" বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপগুলো পূরণ করুন!
Answer ( 1 )
তাকদীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনা বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার যেমন–শনির দশা, রাহুর গ্রাস ও কালের দৃষ্টি থেকে রক্ষা; ফাড়া কাটানো, দূর্ভাগ্য দূর করা, সৌভাগ্য আনয়ন করা; এসব উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার করা হারাম ও শিরিক। এছাড়া পুরুষের জন্য দুই শর্তে আংটির ব্যবহার করা জায়েয। এক. রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করবে। দুই. পাঁচ মাশা (৪.৮৬ গ্রাম) থেকে কম হতে হবে। (আহসানুল ফাতওয়া খণ্ড : ৮, পৃ. ৬৯-৭০/রদ্দে মুখতার, খণ্ড : ৫, পৃ. ২২৯)
যেসব ধাতু কাফিরদের সঙ্গে কিংবা তাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমন শিশা, পিতল, কাঁসা ও লোহার আংটি ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য মাকরূহ। পিতল, কাঁসা ইত্যাদি ধাতব কাফিরদের মূর্তি নির্মাণ ও আসবাবপত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাদের অনেকে লোহাকে বিশেষ পূজা-অর্চনায় ব্যবহার করে- (ইসলাম বনাম বিজাতির অনুকরণ, হাকিমুল উম্মত ক্বারী তৈয়্যব সাহেব (রহ.) পৃ. ১৭১-১৭)। তাছাড়া দোযখীদেরও শাস্তিস্বরূপ লোহার বেড়ী পরানো হবে।
তবে অসুস্থতার কারণে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অন্য ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে। আমাদের প্রিয় নবী(সা.) রাষ্ট্রীয় দাপ্তরিক কাজে সীলমোহর হিসেবে রুপার আংটি ব্যবহার করতেন। তাতে লেখা ছিল ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’। আংটি প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে তায়মিয়া (রহ.), হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.) ও ফিকাহবিদদের থেকে নিম্নরূপ অভিমত নকল করেছেন। (ইকতিজাউস সিরাতুল মুস্তাকিম)
স্বর্ণের আংটি বা সোনার অন্য যে কোন অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য একেবারে হারাম। আবু মুসা আশ‘আরী (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,
أُحِلَّ الذَّهَبُ وَالْحَرِيرُ لِإِنَاثِ أُمَّتِي، وَحُرِّمَ عَلَى ذُكُورِهَا
“আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন।”(সুনান নাসাঈ হাদীস নং-৫২৬৫)